হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ.’দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগারস্বরূপ এবং কাফেরের জন্য জান্নাত মতো।’এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, একজন কাফের ঈমানের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত থাকার কারণে শরীয়তের বিধান মেনে চলতে বাধ্য নয়। সে তার মতো করে স্বাধীন জীবন-যাপন করতে পারবে। কিন্তু যাকে আল্লাহ তাআলা ঈমানের নেয়ামত দান করেছেন, সে শরীয়তের সমস্ত বিধি-বিধান মেন চলতে বাধ্য। সে ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবে না; বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শরীয়তের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা তার জন্য জরুরি।Iইসলামে জীবনের অন্যান্য দিকের মতো মানবদেহে থাকা সমস্ত চুলের ব্যাপারেও স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মাথার চুল, দাড়ি, গোঁফ, বগলের চুল, নাভির নিচের চুল; এরকভাবে মহিলাদের মাথার চুল ইত্যাদি। মোটকথা মানবদেহে জন্মানো প্রতিটি চুলের সম্পর্কে শরীয়তের ভিন্ন ভিন্ন বিধান রয়েছে। এগুলো মেনে চলা প্রত্যেক মুমিন পুরুষ ও মহিলার জন্য অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমান অন্যান্য শরীয়তের বিধানের মতো চুল সংক্রান্ত বিষয়েও অনেক অবহেলা দেখা যাচ্ছে। এ জন্য মনে হলো যে, চুল সংক্রান্ত বিধানসমূহ কুরআন, হাদীস এবং ফিকহের নির্ভরযোগ্য কিতাবাদি থেকে সংগ্রহ করে একত্রিত করা উচিত। যাতে করে লোকদের জন্য মাসায়েল তালাশ করা এবং তার উপর আমল করা সহজ হয়ে যায়।
Reviews
There are no reviews yet.